১. সূক্ষ্ম আক্রমণকারী, রক্তপাত মুক্ত।
২.ব্যথামুক্ত, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সম্মান্য।
৩. আয়ুষ্কাল বৃদ্ধিতে সহায়ক।
প্রতিটি সীডের পুরুত্ব ০.৮ মি.মি. এবং দৈর্ঘ্য ০.৪ সে.মি.।
বিশেষত্বঃ
১২৫ I সীড থেকে ছোট ছোট Y রশ্মি নির্গত হয়ে টিউমারে প্রবেশ করে।এর কার্যকারিতা সার্জারির সমান হওয়ায় একে সীড নাইফ ও বলা হয়।
সুবিধাঃ
১. টিউমারের ভেতরে রেডিয়েশন দেওয়ার ফলে স্বাভাবিক টিস্যুগুলো ক্ষতি গ্রস্থ হয় না।
২. একটানা ১৮০ দিন এক্সপোজারের মাধ্যমে কার্যকর ভাবে টিউমার ধ্বংস করে।
৩. স্বল্প ব্যথা বিশিষ্ট।
ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিঃ
সিটি এবং এম.আর.আই . এর মাধ্যমে মূল টিউমারের একটি ডাইমেনশনাল ইমেইজ সৃষ্টি করা হয়। কত গুলো সীড ইমপ্ল্যান্ট করা হবে, কোথায় করা হবে ইত্যাদি সহ সম্পূর্ণ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান ই নির্ভর করে টিউমারের আকার,আকৃতি, অবস্থান ইত্যাদির উপর।
সি.টি . এর নির্দেশমালার আলোকে বিশেষ ধরণের যন্ত্রের সাহায্যে টিউমারে এবং মেটাস্টাসিস লিম্ফ নোডের সম্ভাব্য স্থান গুলোতে I ১২৫ সীড ইমপ্ল্যান্ট করা হয় যা থেকে টিউমারে অনবরত Y রশ্মি নির্গত হতে থাকে।
১২৫ I সীড ইমপ্ল্যান্টেশন ট্রিটমেন্টের জটিলতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম এবং এটি অন্যান্য স্বাভাবিক প্রত্যঙ্গগুলোর কোন রকম ক্ষতি করে না।ট্রিটমেন্টের পর রোগী কোন অস্বাভাবিকতাও বোধ করেন না।
ব্যবহারঃ
১.এটি বিভিন্ন ধরণের টিউমার এবং মেটাস্টাসিস টিউমারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
২. টিউমার যত বড় হয় I ১২৫ সীড ততো বেশী লাগে।
৩. রেডিয়েশন ইফেক্ট প্রায় ১৮০ দিন পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
রেডিও একটিভ সীড ইমপ্ল্যান্টেশন সম্ভাব্য টিউমার এবং ক্যান্সার সেল উভয়কেই মেরে ফেলে ফলে তা পুনরায় টিউমার ফিরে আসাকে প্রতিরোধ করে।অন্য কোন থেরাপি যেমন আর-হি ক্রাইওথেরাপির সাথে এটি ব্যবহৃত হলে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যায়।
রেডিও একটিভ সীড ইমপ্ল্যান্টেশনে সীড গুলো টিউমারের ভেতরে অবস্থান করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আস্তে আস্তে রেডিয়েশন বিকিরন করতে থাকে ফলে সাথে সাথে কোন ফল পাওয়া যায় না। প্রায় ২-৩ মাস পর দেখা যায় টিউমার গুলো শুকিয়ে গেছে। এরপর টিউমারের ভেতর ক্যান্সার সেল একটিভ য়াছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য সি.টি. বা আলট্রা সাউন্ড ব্যবহার করা হয়।
সতর্কতাঃ সীড ইমপ্ল্যান্টেশনের পর প্রথম দুই মাস রোগীকে গর্ভবতী মহিলা ও ৩ বছরের ছোট শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হবে। ২ মাস পর রোগী আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।